কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় শতাধিক মুসলিম পশ্চিমাদেশের সাথে মিল রেখে রাখছেন রোজা।

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় শতাধিক মুসলিম পশ্চিমাদেশের সাথে মিল রেখে রাখছেন রোজা।
মাহফুজ হাসান,কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
রোযা বা রোজা (ফার্সি রুজ়ে), সাউম বা সাওম (আরবি স্বাউম্‌, অর্থঃ সংযম), বা সিয়াম ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল ভিত্তির তৃতীয়। সুবহে সাদেক বা ভোরের সূক্ষ আলো থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার,পাপাচার, কামাচার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোযা। ইসলামী বিধান অনুসারে, প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য রমযান মাসের প্রতি দিন রোজা রাখা ফরজ, ( ফ়ার্দ্ব্‌) যার অর্থ অবশ্য পালনীয়।
দেশে প্রচলিত নিয়মের এক দিন আগেই কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কলাদিয়া গ্রামের শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলিম নারী-পুরুষ পবিত্র রমজানের রোজা রেখেছেন। শুক্রবার দিবাগত ভোররাতে সাহরি খেয়ে  শনিবার থেকে রোজা পালন শুরু করেন তারা।
এলাকাবাসী জানান, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মিল রেখে বিগত ১০ বছর ধরে উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের কলাদিয়া গ্রামসহ আশপাশের এলাকার শতাধিক নারী-পুরুষ পবিত্র রমজানের রোজাসহ দুটি ঈদ উৎসব পালন করে আসছেন। এর ধারাবাহিকতায় এবারও তারা দেশের প্রচলিত নিয়মের এক দিন আগেই রোজা পালন শুরু করেছেন।
এ মতের অনুসারী উপজেলার কলাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ডা. মাজু মিয়া বলেন, ২০১২ সাল থেকে আমরা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র রমজানের রোজাসহ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছি। এর ধারাবাহিকতায় এবারও  শুক্রবার ভোররাতে সাহরি খেয়ে  শনিবার থেকে রোজা রাখা শুরু করেছি। এবার এ গ্রামে দেড় শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলিম নারী-পুরুষ পবিত্র রমজানের রোজা রেখেছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন